উত্তর ভূমিকা : একটি কোম্পানি বাজার প্রসার ও ব্র্যান্ড প্রচারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বাণিজ্য মেলাকে টার্গেট করা যেতে পারে। বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহজেই নিজ দেশের পণ্য পাশাপাশি অন্যদেশের পণ্যকেও সহজেই ভোক্তা এবং জনগণের সামনে তুলে ধরা যায়। সোজা কথায় পণ্যের পরিচিতির অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ ।
বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণে বিবেচ্য বিষয় : বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে :
১. লক্ষ্য নির্ধারণ :
বাজার গবেষণা : মেলায় অংশগ্রহণের পূর্বে বাজার ও টার্গেট দর্শক সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে।
উদ্দেশ্য নির্ধারণ : বিক্রয় বৃদ্ধি, নতুন পণ্য প্রচার, গ্রাহক ফিডব্যাক সংগ্রহ বা ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধির মতো উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে।
২. বাজেট পরিকল্পনা :
বুথ খরচ :মেলায় বুথ ভাড়া, সাজ-সজ্জা ও ডিজাইন সংক্রান্ত খরচ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
প্রচারমূলক সামগ্রী : ব্রোশিউর, পাম্পলেট, স্যাম্পল ইত্যাদির খরচ। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণের জন্য কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য বিষয়ক বাজেট পরিকল্পনা করতে হবে।
৩. প্রমোশন এবং মার্কেটিং :
প্রচার : সামাজিক মাধ্যম, ইমেইল মার্কেটিং ওয়েবসাইট আপডেটের মাধ্যমে মেলা সংক্রান্ত প্রচার করতে হবে।
অফার এবং ডিসকাউন্ট : মেলায় বিশেষ অফার বা ডিসকাইন্ট প্রদান করে দর্শকদের আকর্ষণ করতে হবে।
৪. বুথের ডিজাইন এবং প্রদর্শনী :
• অর্থবহ ডিজাইন : আকর্ষণীয় ও ব্যবহার বান্ধব বুথ ডিজাইন করা যাতে দর্শকরা সহজে আকৃষ্ট হন।
ডেমো এবং প্রদর্শণী : পণ্য বা সেবার লাইভ ডেমো প্রদর্শন এবং কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
৫. কর্মীদের প্রশিক্ষণ :
• যোগাযোগ দক্ষতা : কাস্টমারদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
পণ্যের জ্ঞান : মেলায় প্রদর্শিত পণ্য বা সেবার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকতে হবে।
৬. পরবর্তী পদক্ষেপ :
ফলোআপ : মেলা শেষে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে ফলোআপ করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
• ফিডব্যাক সংগ্রহ : মেলায় অংশগ্রহণকারীদের থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করে ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরে আলোচিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হলে বাণিজ্য মেলায়
অংশগ্রহণ আরো ফলপ্রসূ ও সফল হতে পারে ।