উত্তর৷ ভূমিকা : ইতিহাসের মাধ্যমে মানুষ তার আত্মপরিচয় ও অতীত কার্যাবলি সম্পর্কে অবগত হতে পারে। ফলে মানুষ অতীতের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা হতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পথ চলার দিক নির্দেশনা পায়, যা জাতীয় জীবনে অত্যন্ত অপরিহার্য। অতীত ঘটনার ধারাবাহিক বিবরণই ইতিহাস। সূর্যোদয়কে বাদ দিয়ে যেমন সূর্যাস্ত কল্পনা করা যায় না, তেমনি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বাদ দিয়ে ইতিহাস কল্পনা করা যায় না। তাই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। নিচে ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো :
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা : ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার বিকাশের বিবর্তনের রূপরেখা। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমেই আমরা অতীতের যে কোনো দেশের, যে কোনো জাতির বা শাসকের কর্মকাণ্ড এবং উত্থানপতনের কর্মকাণ্ড বা খতিয়ান সবকিছুই আমরা ইতিহাস পাঠে অবগত হতে পারি। তাই ইতিহাস পাঠ করা আমাদের অতীব জরুরি। এছাড়াও ইতিহাস পাঠ করে সভ্যতার ক্রমবিকাশ, উত্থানপতন, একটি জাতির অতীত কর্মপন্থা সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনাও পেয়ে থাকি। অতীতকে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখা, জাতীয়তাবোধ সুসংহত করা, আত্মোপলব্ধি বৃদ্ধি করা, জ্ঞানের ঠিকানা সাধন করা, দুর্ভিক্ষ, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা। পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পাওয়া প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য ইতিহাস পাঠ করা আমাদের জন্য একান্ত জরুরি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাস হলো মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতার সঞ্চিত খনি, ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা একটি জাতির অতীত সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে জানতে পারি ।